কৌতূহলী মনের স্পষ্ট উত্তর।

সাধারণত জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

শ্রবণযন্ত্র (হিয়ারিং এইড) কী উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়?

শ্রবণযন্ত্র (হিয়ারিং এইড) হলো শব্দ বর্ধক ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যা শ্রবণ সমস্যায় ভোগা মানুষের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই যন্ত্রগুলো সাধারণত কয়েকটি মূল উপাদান নিয়ে গঠিত, যেমন মাইক্রোফোন যা শব্দ সংগ্রহ করে এবং অ্যাম্প্লিফায়ার যা সেই শব্দকে এমন একটি মাত্রায় বাড়িয়ে তোলে যাতে ব্যবহারকারী বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তা ব্যবহার করতে পারেন।

বাংলাদেশে শ্রবণযন্ত্রের দাম কত?

২০২৫ সালে বাংলাদেশের হিয়ারিং এইডের দাম ১৫,০০০ টাকা থেকে ৮,০০,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে, যা ডিভাইসের ব্র্যান্ড, ধরন ও ফিচারের উপর নির্ভর করে। প্রতিটি ব্র্যান্ড, মডেল এবং তাদের নির্ধারিত মূল্য (MRP) সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যসহ ব্রোশিওর পাওয়া যায়। নির্দিষ্ট দামের সুপারিশ পেতে আমাদের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন, যাতে আপনার জন্য উপযুক্ত হিয়ারিং এইড নির্ধারণ করা যায়।

এই শ্রবণযন্ত্রগুলোর উপর আমি কী ধরনের ওয়ারেন্টি বা গ্যারান্টি পাব?

হিয়ারিং স্টোর থেকে প্রতিটি কেনাকাটার সাথে আপনি আজীবন আফটারমার্কেট সেবা পাবেন। সব হিয়ারিং এইডে প্রস্তুতকারকের উপর নির্ভর করে ২ থেকে ৪ বছর পর্যন্ত ব্র্যান্ডের বেসিক ওয়ারেন্টি থাকে। পাশাপাশি, প্রত্যেক গ্রাহককে একটি ওয়ারেন্টি কার্ড দেওয়া হয়। প্রতিটি গ্রাহকের জন্য একটি করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়, যা সার্ভিস সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখাশোনা করে। তাই যদি কোনো কিছু ঠিক করতে হয়, মেরামত বা সূক্ষ্ম টিউনিং প্রয়োজন হয়, সবকিছুই দক্ষ সার্ভিস টিম দ্বারা সম্পন্ন করা হয়।

শ্রবণযন্ত্রের কত প্রকারভেদ আছে?

শ্রবণযন্ত্রগুলো সাধারণত তাদের আকার ও গঠনের উপর ভিত্তি করে ছয়টি বিভাগে ভাগ করা হয়:

  1. BTE (বিহাইন্ড-দ্য-ইয়ার)
  2. RIC (রিসিভার-ইন-ক্যানাল)
  3. ITE (ইন-দ্য-ইয়ার)
  4. ITC (ইন-দ্য-ক্যানাল)
  5. CIC (কমপ্লিটলি-ইন-ক্যানাল)
  6. IIC (ইনভিজিবল-ইন-ক্যানাল)

এই মডেলগুলোর নাম তাদের গঠন এবং কানে বা কানের পেছনে পরার সময় কতটা দৃশ্যমান হবে তা নির্দেশ করে।

আপনার অফিস কোথায় অবস্থিত?

হিয়ারিং স্টোর সার্ভিস এখন বাংলাদেশের প্রতিটি প্রধান শহরে উপলব্ধ। আপনি যদি নির্দিষ্ট কোনো ক্লিনিক খুঁজে থাকেন, চিন্তার কিছু নেই। আমাদেরকে +৮৮০১৮৫৯২৪৪১৪৪ এই নম্বরে কল করুন, আমরা আপনাকে আপনার নিকটবর্তী লোকেশনে রিডাইরেক্ট করে দেবো। বর্তমানে আমাদের ক্লিনিকগুলো নিচের শহরগুলোতে চালু রয়েছে:

ঢাকা, ফরিদপুর, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, নেত্রকোণা, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, নবাবগঞ্জ, পাবনা, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, পঞ্চগড়, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বান্দরবান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কক্সবাজার, ফেনী, খাগড়াছড়ি, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, রাঙামাটি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, সিলেট, বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ, খুলনা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, মেহেরপুর, নড়াইল এবং সাতক্ষীরা।

আপনার পণ্যের সত্যতা বা অরিজিনালিটি কীভাবে নিশ্চিত করব?

হিয়ারিং স্টোরের শ্রবণসেবা খাতে দশ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত, আমাদের রয়েছে সারা দেশে বিস্তৃত একটি ক্লিনিক নেটওয়ার্ক এবং ১০+ সার্টিফায়েড অডিওলজিস্টের একটি দক্ষ টিম। বাংলাদেশে আমরা সিগনিয়ার ছয়টি ডায়মন্ড পার্টনারের একটি এবং পাশাপাশি ফোনাক, রিসাউন্ড, স্টার্কি, ওটিকনসহ বিশ্বের খ্যাতনামা অন্যান্য ব্র্যান্ডের অনুমোদিত পার্টনার। আমরা এখন পর্যন্ত ১,২৫,০০০ জনেরও বেশি রোগীর কাছে ২,০০,০০০-এর বেশি হিয়ারিং এইড বিতরণ করেছি। আমাদের সেবাসমূহ সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে আমাদের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন।

কি অডিওলজিস্টের পরামর্শ ছাড়া শ্রবণযন্ত্র ব্যবহার করা যায়?

সম্ভবত হ্যাঁ, তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া শ্রবণযন্ত্র কেনা সুপারিশযোগ্য নয়। পেশাদার অডিওলজিস্টরা আপনার শ্রবণ ক্ষমতা মূল্যায়ন করতে সক্ষম এবং নিশ্চিত করতে পারেন যে শ্রবণযন্ত্রটি আপনার জীবনযাপন এবং শ্রবণ প্রোফাইল অনুযায়ী কাস্টমাইজ, ফিট ও প্রোগ্রাম করা হবে।

সবাই কি শ্রবণযন্ত্র ব্যবহার করতে পারে?

যে কেউ শ্রবণ সমস্যায় ভুগছেন, তারা হিয়ারিং এইড ব্যবহার করে উপকার পেতে পারেন। তবে, তাদের জন্য কোন ডিভাইসটি সবচেয়ে উপযুক্ত এবং সর্বোত্তম ফলাফল নিশ্চিত করতে একটি শ্রবণ বিশেষজ্ঞ বা অডিওলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করা অত্যন্ত পরামর্শযোগ্য।